Description
১ম দিন
|
সকালে খুলনা জেলখানা ঘাট হতে নোঙ্গর করা টুরিস্ট জাহাজে অতিথিদের পৌঁছে দেওয়া ।সকলের কক্ষ বরাদ্দ নিশ্চিত করে সুন্দরবনের পথে যাত্রা। কিছু সময় খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড বাংলাদেশের খুলনা শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত একটি জাহাজ নির্মাণ এবং মেরামত প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এটি জার্মান সহায়তায় ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর হজরত খাঁনজাহান আলী (রুপসা সেতু)নিজ দিয়ে জাহাজের ছাদে,বারান্দা বা নিজ কক্ষে বসে রূপসা নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে সামনে এগিয়ে চলা্ এরপর সকালের নাস্তা সেরে কিছু সময় পর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখতে দেখতে দেশের ২য় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মংলা পোট পৌঁছে যাব ঢাংমারি ফরেষ্ট অফিস এ বনবিভাগের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে সসস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে সুন্দরবনের ভেতরে প্রবেশ করবে আমাদের টুরিস্ট জাহাজ ।জাহাজের ছাদে বসে লাঞ্চ বা ডিনার সে এক অসাধারন অভিজ্ঞতা। এরপর
হাড়বাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম পয়েন্ট এ পৌঁছে সেখানে দেখবো নোনা পানির মাঝে মিঠা পানির পুকুর নানার প্রজাতির গাছ যেমন গোলপাতা,সুন্দরী বাইন, গেওয়া ইত্যাদি।এর মাঝে গভীর জংগলে প্রবেশ করে লাল কাকড়া সহ নানান বৈচিত্রময় দৃশ্য দেখবো ঘুরে কটকার পথে যাত্রা।রাতে জাহাজে রাত্রিযাপন। |
২য় দিন
|
কটকা খুব ভোরে চা বিস্কিট খেয়ে কটকা ওয়াচ টাওয়ার হয়ে বনের ভিতর দিয়ে ৪৫ মিনিট হেটে জামতলা সী- বীচে যাবো। বীচে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে জাহাজে ফিরে অাসবো।এসে সকালে নাস্তা সেরে কটকা অফিস পারে দেখবো শত হরিণ বানরের ছুটাছুটি পুনোরাই হিরণ পয়েন্ট,এর পথে যাত্রা হিরণ পয়েন্ট, সুন্দরবনের দক্ষিণাংশের একটি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য। এর আরেক নাম নীলকমল। প্রমত্তা কুঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে, খুলনা রেঞ্জে এর অবস্থান। হিরণ পয়েন্ট ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম একটি বিশ্ব ঐতিহ্য। হিরণ পয়েন্ট একটি অভয়ারণ্য হওয়ায় এই স্থান অনেক বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি নিরাপদ আবসস্থল। সুন্দরবন এলাকায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার অন্যতম একটি স্থান হলো এই হিরণ পয়েন্ট। এখানে দেখা পাওয়া যায় চিত্রা হরিণ, বন্য শুকর,ও পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বুক মাছরাঙা, হলুদ বুক মাছরাঙা, কালোমাথা মাছরাঙা, লার্জ এগ্রেট, কাঁদা খোঁচা, ধ্যানী বক প্রভৃতি। এছাড়া আছে প্রচুর কাঁকড়ার আবাস। আরও আছে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত তিনটি ভালো রেস্টহাউজ আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে তাতে থাকা যায় বিকালে দুবলার চর্।
দুবলার চর মূলত জেলে গ্রাম। মাছ ধরার সঙ্গে চলে শুঁটকি শোকানোর কাজ। বর্ষা মৌসুমের ইলিশ শিকারের পর বহু জেলে চার মাসের জন্য সুদূর কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ, বাগেরহাট, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা থেকে ডেরা বেঁধে সাময়িক বসতি গড়ে সেখানে। মেহেরআলীর খাল, আলোরকোল, মাঝেরচর, অফিসকেল্লা, নারিকেলবাড়িয়া, মানিকখালী, ছাফরাখালী ও শ্যালারচর ইত্যাদি এলাকায় জেলে পল্লী স্থাপিত হয়। এই চার মাস তারা মাছকে শুঁটকি বানাতে ব্যস্ত থাকেন। প্রতি বছর কার্ত্তিক মাসে (খ্রিস্টীয় নভেম্বর) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাসমেলা এবং পূণ্যস্নানের জন্যও দ্বীপটি বিখ্যাত। যদিও বলা হয়ে থাকে, ২০০ বছর ধরে এ রাসমেলা হয়ে চলেছে, তবে জানা যায়, ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে হরিচাঁদ ঠাকুরের এক বনবাসী ভক্ত, নাম হরিভজন (১৮২৯—১৯২৩), এই মেলা চালু করেন্,প্রতিবছর অসংখ্য পুণ্যার্থী রাসপূর্ণিমাকে উপলক্ষ করে এখানে সমুদ্রস্নান করতে আসেন। দুবলার চরে সূর্যোদয় দেখে ভক্তরা সমুদ্রের জলে ফল ভাসিয়ে দেন। কেউবা আবার বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ভজন-কীর্তন গেয়ে মুখরিত করেন চারপাশ। দুবলার চরের রাসমেলায় স্থানীয় লোকজন ছাড়াও দূর-দূরান্তের শহরবাসী এমনকি বিদেশি পর্যটকেরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে থাকেন। তিনদিনব্যাপী এ মেলায় অনেক বিদেশী পর্যটকেরও সমাগম হয়। রাতে জাহাজে রাত্রিযাপন।যাত্রা এবং করমজল পথে যাএা
|
৩য় দিন
|
ভোরে জোয়ারের উপর ভিত্তিকরে রওনা হয়ে আমরা দুপুরে পৌঁছে যাব করমজল। এখানে দেখবো বানর,হরিন,কুমির, কুমির প্রজনন কেন্দ্র,সুন্দরবনের নানা প্রজাতির গাছ এছাড়া কাঠের তৈরী রাস্তা দিয়ে হেটে সুন্দরবনকে উপভোগ করা ও ওয়াচ টাওয়ার দেখা ও সুন্দরবন এর মানচিত্র দেখা। করমজলের ওয়াচ টাওয়ার, মিনি চিড়িয়াখানা, কুমির প্রজনন কেন্দ্র ইত্যাদি দেখে
সন্ধ্যায় ফিরে আসব খুলনায়। |
এম, ভি দি ওয়েভে যে ফ্যাসিলিটি সমূহ
বিলাসবহুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্রজ শীপ
বাচ্চাদের প্লে গ্রাউন্ড
বার-বি-কিউ কর্নার
রাতে কনফারেন্স রুম এ সকল গেস্ট একসঙ্গে থিয়েটরে মুভি দেখার ব্যবস্থা।
৫০,০০০ লিটার মিষ্টি পানির রির্জাভার।
নামাজের জায়গা
আধুনিক জি.পি. এস. রার্ডার, ইকো সাউন্ড সিস্টেম, ফায়ার এর্লাম সহ সংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।
৪টি ফ্রিজের মাধ্যমে খাবার সংরক্ষন করা।
শীপের অভ্যন্তরে ফ্লোর এবং ওয়ালে উডের নান্দনিক ইন্টোরিয়ার ডিজাইন।
কনফারেন্স রুম
৭৫ জনের বেড ক্যাপাসিটি ইন ৩২ কেবিন উইথ
এটাস্ট ওয়াশরুম।
সুইমিংপুল
প্রতিদিন থাকছে ডাবোল ফুড মেনুর
তিনবেলা খাবার ও দুইবেলা স্নাক্স এবং সার্বক্ষণিক চা-কফির সুব্যবস্থা।
একদিন স্পেশাল বার্বিকিউ নাইট
প্রতিদিন আপনাদের জন্য সুস্বাদু খাবার আয়োজনের জন্য আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ সেফ এবং খাবার সার্ভের জন্য দক্ষ ওয়েটার
নিরাপত্তার জন্য আমাদের প্রতিটি ট্যুরে দুজন করে বন বিভাগ থেকে সরকারি সিকিউরিটি গার্ড উইথ আর্মস
অভিজ্ঞ গাইড।
প্রযুক্তি সম্পন্ন নেভিগেশন যন্ত্রপাতি
লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া
৩ দিন ২ রাত ব্যপি “সুন্দরবন ভ্রমণ”
FOOD MENU
প্রথম দিb এম ভি দি ওয়েভ
ওয়েলকাম ড্রিংস
ব্রেকফাস্ট | স্নাক্স | লাঞ্চ | স্নাক্স | ডিনার |
প্লেনপরাটা
ভেজিটেবল মুগ ডাল ভুনা ডিম ভাজি সুন্দরবনের মধু চা-/কফি
|
ড্রাই কেক
কলা আমড়া চা/কফি |
সাদা ভাত
লাউ চিংড়ি ভর্তা –সিম +আলু শাক ভেটকি মাছ চিকেন ডাল সালাত মিষ্টি |
নুডুলস
চা/কফি
|
সাদা ভাত
মিক্স সবজি ভর্তা – পেপে+বেগুন টেংরা মাছ খাসির/গরু মাংস ডাল ভুনা সালাদ মিষ্টি
|
দ্বিতীয় দিন
ব্রেকফাস্ট | স্নাক্স | লাঞ্চ | স্নাক্স | স্পেশাল ডিনার |
ভুনা খিচুড়ি
বেগুন ভাজি মুরগী মাংস ভুনা ডিমের কারী আচার সালাত চা-কফি |
ডাব
কমলা/মালটা আপেল পেয়ারা চা/কফি |
সাদা ভাত
ভর্তা-কলা/মুচা/চিংড়ি ভেজিটেবল গলদা চিংড়ি চিকেন ডাল ভুনা সালাদ মিষ্টি
|
চিকেন সুপ
ফ্রেন্স ফ্রাই চা/কফি
|
প্লেনপরাটা
ফ্রাইডরাইস চিকেন- B-B-Q ফিস্ B-B-Q হাঁসেররেজালা ছোলার ডাল রাশিয়ান সালাদ কোলড্রিংস
|
তৃতীয় দিন
Breakfast | স্নাক্স | লাঞ্চ | স্নাক্স | ডিনার |
প্লেন পরাটা
মিক্সডসবজি ( সুজির হালুয়া ডিম ভাজি চা/ কফি
|
শীতের পিঠা
চা/কফি |
প্লেইন পোলাও
ফাইসা মাছ দো পেয়াজু চাইনিজ সবজি খাসির মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট খাসির মাংস রেজালা দই
|
ভেজিটেবল পাকুড়া
চা/কফি |
সাদা ভাত
মিক্স সবজি চিকেন ভুনা ভর্তা ডাল ভুনা সালাদ
|
Reviews
There are no reviews yet.